Header Ads

Header ADS

কথা শিল্পী ময়না ২ (গল্প)


রুমির ময়না পাখি




বাংলাদেশে পাখির মেলা, পাখির সাথে কাটাই বেলা।পাখির কথা লিখতে গিয়ে প্রথমেই আমার লেখাপাখির মেলাকবিতার দুটি চরণ মনে পড়ে গেল। পাখির জগৎ একটি অন্যরকম জগৎ। যে নিজের জগৎকে যত বেশি ভালোবাসতে জানে, সে পাখির জগৎকে ততবেশি ভালোবাসতে জানে। নাম না-জানা কত্ত পাখি! পাখির সাথে কথা বলা, তার সাথে ভাবের আদান-প্রদান- যেন অন্যরকম ভালো লাগা। অন্যরকম ভালো লাগা থেকেই রুমি কিছুদিন থেকে খাঁচায় একটা ময়না পাখি পোষে।
পাখি রুমির বন্ধু। পরিচিত আপনজন। পোষা ময়না পাখিটারে কে-না চোখে চোখে রাখি! একটুও চোখের আড়াল করতে মনে চায় না। বাহিরে গেলেও মনে পড়ে পাখির কথা। ময়না পাখি প্রতিদিনই রুমির খেলার সাথী। অনেকেই শখ করে পোষে ময়না পাখি। কারণ এই পাখি মানুষের মতো করে কথা বলতে পারে। মানুষকে দেখে দেখে ঠিক সেভাবেই এরা কথা বলে। বাড়ির ছোটদের নাম ধরে ডাকে এই ময়না পাখি। সেই সুন্দরতম একটা ময়না পাখি।
রুমি ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। তার মামাতো বোন সুমি। মামার বাড়ি গ্রামে। রুমি মা-বাবার সাথে কিছুদিন আগে মামার বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিল। সুমিদের বাড়ির সামনে মেঠো রাস্তা। রাস্তার সামনে মস্তবড় ভিটে। ভিটের চারপাশে ছোট-বড় অনেক গাছগাছালি। প্রতিদিন সকাল-বিকাল সুমি এখানে খেলতে আসে। ময়না পাখিও আসে। তার সাথে কথা বলে। সে খেলা করে। মনে মনে ভাবে পাখিটাও আমার সাথে খেলছে। এভাবেই কেটে যায় সুমির দিন প্রতিদিন।
সেদিন রুমিও সুমির সাথে খেলল। পাখির সাথে কথা বলল। খুব আনন্দে দিনটি কেটে গেল। মামার বাড়ি থেকে শহরে এলো। রুমি বাবাকে একটা ময়না পাখি পোষার কথা বলল। বাবা বাজার থেকে পাখিটা কিনে দিলেন। রুমি পাখিটার খুব যতœ করে, খাওয়া-দাওয়া করায়। প্রতিদিন গোসল করায়। রুমিদের বাড়ির সামনে বড় একটি ব্যস্ত পাকা সড়ক। বিভিন্ন গাড়ির শব্দ শুনে পাখিটিও বিভিন্ন শব্দ করে।
কয়েক দিন আগের একটি ঘটনা। গত সোমবার রাতে এক মহিলা রোগী গুরুতর অসুস্থ, রোগীকে অক্সিজেন দেওয়ার জন্য ডাক্তারকে ডাকা হলেও তিনি কারো কথায় কর্ণপাত করলেন না। রোগীকে এত রাতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। অবশেষে রোগীটি মারা গেলেন। পরের দিন মঙ্গলবার। সন্ধ্যা রাতে হঠাৎ রুমিদের বাসার সামনে প্রায় ঘণ্টাখানেক অনেক লোকের হট্টগোল, মারামারি। পরে জানা গেল, রোগী দেখতে না যাওয়ায় ডাক্তারের চেম্বার ভাংচুর করা হয়। সেদিন সন্ধ্যা রাতে রুমির মা, বাবা, ভাই বাড়ি থেকে বেরিয়ে ঘটনাস্থল দূর থেকে লক্ষ করেন। সেদিন লোকের চেঁচামেচিতে রুমির ময়না পাখিও অনেক চেঁচামেচি করে। রুমি তার পাখি অনেক ভয় পায়।
একটু পরেই রুমির প্রাইভেট টিচার পড়াতে আসেন। রুমি সবকিছু ঘটনা খুলে বলল। টিচার অভয় দেখালেন। রুমি এখন মনে কিছু স্বস্তি খুঁজে পায়। একটু পরে ওর মা, বাবা, ভাই সবাই বাসায় এলেন। পাখির সঙ্গে কথা বললেন। পাখিটারও ভয় কেটে গেল। তবে সবাই বুঝতে পেরেছে, ভাগ্যিস রুমি আজ বাড়িতে ছিল। অন্যথায় পাখিটা আজ হয়তো ছটফট করে মারাই যেত। তাই পাখিকে একা রেখে ওরা কোথাও বেড়াতে যেতে চায় না। কোথাও বেশিদিনের জন্য গেলে পাখিটা সঙ্গে নিয়েই যায়।

1 comment:

  1. Dear Admin,

    We have reviewed your website, yours efficiency and the contents of all the categories are really commendable.
    Please visit ours The Daily Bangla Newspaper.

    Name : Odhikar.news
    URL : https://www.odhikar.news
    Tittle: Best Bangla Newspaper

    Thanking you
    Best Regards
    Gazi Atiqur Rahman
    Odhikar.news
    Cell: +8801712282702
    Email: odhikarseo.gazi@gmail.com

    ReplyDelete

Theme images by mammamaart. Powered by Blogger.